রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সারাদেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ৩৯০ সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব ২০২৫ উদযাপিত হলো কুয়াকাটায় সাংবাদিকের মোটরসাইকেল চুরি: নিরাপত্তাহীনতায় সাংবাদিক সমাজ, প্রশ্নবিদ্ধ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কাঠালিয়ায় মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার দাবিতে বিএনপি নেতাদের সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় পিটিয়ে প্রেমিকের হাত-পা ভাঙলেন তরুণী এবার প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো মেঘনা আলমকে সারা দেশে বজ্রবৃষ্টি, সতর্ক করল আবহাওয়া অফিস বিয়ের নামে প্রতারণা, নিঃস্ব প্রবাসী
১ম কিস্তিতে আইএমএফের কাছে দেড় বিলিয়ন ডলার চায় বাংলাদেশ

১ম কিস্তিতে আইএমএফের কাছে দেড় বিলিয়ন ডলার চায় বাংলাদেশ

ভিশন বাংলা ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আএমএফ) কাছে বাংলাদেশ মোট সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজ চেয়েছে। এরমধ্যে প্রথম কিস্তিতে দেড় বিলিয়ন ডলার চায় বাংলাদেশ সরকার। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বরাত দিয়ে লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।

জলবায়ু সংকট মোকাবিলা এবং বাজেট ঘাটতি পূরণে সবমিলে এ অর্থ চাওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। তবে আইএমএফ বলছে, বাংলাদেশের জন্য অর্থের পরিমাণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি, সেজন্য আলোচনা চলছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ পড়েছে। পণ্যের দাম বাড়ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে এশিয়ার সর্বশেষ দেশ হিসেবে আইএমএফের কাছে অর্থায়নের জন্য যোগাযোগ করে বাংলাদেশ।

এর বাইরে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার কাছ থেকে বাংলাদেশ আরও চার বিলিয়ন ডলার ঋণ নিতে চায়। এবং এই ঋণ পেতে সরকার আশাবাদী বলে জানিয়েছেন মুস্তফা কামাল।

বাংলাদেশের আগে এশিয়া দেশ হিসেবে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানও আইএমএফের কাছে জরুরি তহবিল চেয়েছে। পাকিস্তান তাদের চলমান ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির পাশাপাশি আরও ১.৩ বিলিয়ন ডলার নেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তবে এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা।

জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ কমাতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ায় দেশজুড়ে চলছে সিডিউল লোডশেডিং। এরমধ্যে গত শুক্রবার জ্বালানি তেলের দাম এক ধাক্কায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

এ প্রসঙ্গে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে মুস্তফা কামাল বলেন, সবাইকে এখন ভুগতে হচ্ছে। আমরাও চাপের মধ্যে আছি। তবে শ্রীলঙ্কার মতো ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকি বাংলাদেশের নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (বিআরআই) প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ বেইজিংয়ের কাছেও প্রায় চার বিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণের ছয় শতাংশ পাওনা রয়েছে।

তবে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com